Sunday, September 11, 2011

হাদিস

“হালাল উপার্জন থেকে যে খেজুর পরিমাণ সদকা করল, আর আল্লাহ হালাল ব্যতীত গ্রহণ করেন না, আল্লাহ তা ডান হাতে গ্রহণ করেন, অতঃপর সদকাকারীর জন্য তা বৃদ্ধি করতে থাকেন, যেমন তোমরা অশ্বশাবক লালন কর অতঃপর পাহাড়ের ন্যায় পরিণত হয়”[ বুখারি: (১৪১০), মুসলিম: (১০১৬)]
 
“স্বর্ণ ও রূপার এমন কোন মালিক নেই, যে এর হক প্রদান করে না, যার জন্য কিয়ামতের দিন আগুনের পাত তৈরি করা হবে না, যা জাহান্নামের আগুনে তাপ দিয়ে অতঃপর তার পার্শ্ব, কপাল ও পৃষ্ঠদেশ সেক দেয়া হবে। যখন তা ঠাণ্ডা হবে আবার গরম করা হবে, সে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যতক্ষণ না বান্দাদের ফয়সালা সমাপ্ত হয়”[ মুসলিম: (৯৮৭)]
 
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যাকে সম্পদ দান করেছেন, অতঃপর সে তার যাকাত প্রদান করল না, কিয়ামতের দিন তার জন্য বিষধর সাপ সৃষ্টি করা হবে, যার দুটি চোঁয়াল থাকবে, যা দ্বারা সে তাকে কিয়ামতের দিন পেঁছিয়ে ধরবে, অতঃপর তার দু’চোয়াল পাকড়ে বলবে: আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার সঞ্চিত ধন”[ বুখারি: (৮৪০৩)]
 
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“কোন মুসলিমের রক্তপাত করা তিনটি কারণ ব্যতীত বৈধ নয়- বিবাহিত ব্যক্তি যদি ব্যভিচার করে, আর যদি প্রাণের বদলে প্রাণ নিতে হয়। আর যদি কেউ স্বীয় দ্বীনকে পরিত্যাগ করে মুসলিম জামা‘আত হতে আলাদা হয়ে যায়।”
[বুখারী: ৬৮৭৮, মুসলিম: ১৬৭৬]
 
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে; তার পরিবার-পরিজন, তার ধন-সম্পদ এবং তার আমল(কার্যক্রম)। এসবের দু’টি ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়।” [মুত্তাফাকুন 'আলাইহি, বুখারী: ৬০৩৩, মুসলিম: ৫২৬০, মাকতাবাতুস্ শামেলাহ্, ২য় সংস্করণ]
 
ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “লজ্জা কল্যাণই নিয়ে আসে।” [বুখারী: ৬১১৭, মুসলিম: ৩৭] মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে: “লজ্জার সম্পূর্ণটুকু মঙ্গলই মঙ্গল,” অথবা বলেছেন: “সম্পূর্ণ লজ্জাই মঙ্গলজনক।”
 
আবু হামযাহ্ আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম-হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” [বুখারী: ১৩, মুসলিম: ৪৫]
 
হযরত আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মহানবী (স) ইরশাদ করেছেন-যখন
মানুষ মারা যায়, তখন মানুষের আমলের (সাওয়াবের) ধারা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন ধরনের আমলের সাওয়াব সদা- সর্বদা অব্যাহত থাকে। ১.সাদকায়ে জারিয়াহ ২. এমন ইলম, (বিদ্যা) যার দ্বারা মানুষের উপকার সাধিত হয় এবং ৩.সুসন্তান, যে তার পিতা-মাতার জন্য দু’আ করে। (তিরমিযী, হাদীস নং-১২৯৭, নাসায়ী, হাদীস নং- ৩৫৯১)
 
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করাই একজন ব্যক্তির উত্তম ইসলাম।”   [হাদীসটি হাসান। তিরমিযী: ২৩১৮, ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬]
 
আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল: আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন: “রাগ করো না”। লোকটি বার বার রাসূলের নিকট উপেদশ চায় আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “রাগ করো না”। [বুখারী: ৬১১৬]
 
আবু সায়ীদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি মেয়েকে, অন্য রেওয়ায়েতে আছে, অথবা দুটি মেয়েকে লালন-পালন করে তাদেরকে আদব শিক্ষা দেয়, বিবাহের ব্যবস্থা করে এবং তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করে সে জান্নাতের অধিকারী হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫১৪৭)

No comments:

Post a Comment