Sunday, September 11, 2011

সালাত

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “যখন সালাত আরম্ভ হয়ে যায়, তখন দৌড়ে গিয়ে তাতে শামিল হয়ো না। বরং ধীরস্থিরভাবে হেঁটে এসে তাতে শামিল হও। যতটুকু পাও আদায় করে নাও এবং যতটুকু ছুটে যায় পরে পূরণ করে নাও।” [বুখারী: ৯০৮, মুসলিম: ১৩৫৯]
 
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমার ন্যায় এরূপ অযূ করে একাগ্রচিত্তে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [হাদীসটি হুমরান ও উসমান রাদিয়াল্লাহু 'আনহুমা থেবে র্বণিত, বুখারী: ১৫৯, মুসলিম: ৫৩৯]
  
হযরত উসমান ইবনে আবুল আস রাঃ হতে বর্নিত|
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ (আমি যখন সলাতে দন্ডায়মান হই তখন) শয়তান আমার মাঝে এবং আমার সলাত ও কিরায়াতের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং এলোমেলো বাঁধিয়ে দেয়( এমতাবস্হায় আমার করনীয় কি?) তার কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, সে একটি শয়তান ( যে সলাত আদায়কারীদের কে বিভিন্ন কুমন্ত্রনা দিয়ে থাকে) , যাকে " খিনযাব " বলা হয় | তুমি যখন তার উপস্হিতি অনুভব করবে , তখন তার কুমন্ত্রনা থেকে (রেহাই পাবার জন্য) আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং (খিনযাবের প্রতি ধিক্কার স্বরূপ) তোমার বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে |
হযরত উসমান ইবনে আবুল আস রাঃ বলেন , অতঃপর আমি এরূপ করলাম | ফলে আল্লাহ তা'য়ালা আমার নিকট হতে শয়তানকে দূর করে দিলেন |
সূত্র : ১. সহীহ মুসলিম |  ২.মিশকাত:কিতাবু ল ঈমান |

আবু কাতাদা ইবন রিবঈ (রা•) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন- নিশ্চিত আমি আপনার উম্মাতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছি এবং আমি নিজের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিঃ যে ব্যক্তি তা সঠিক ওয়াক্তসমূহে আদায় করবে- আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি তার হেফাজত করে না- তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোন প্রতিশ্রুতি নেই। (আবু দাউদ)
 
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) নবী করীম () থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেন, কেউ কোন নামাযের কথা ভুলে গেলে তা স্মরণ হওয়া মাত্র আদায় করে নিবে নামাযের এটা ছাড়া অন্য কোন কাফফারা নেই কেননা, আল্লাহ বলেন, আমাকে স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর[বোখারী শরীফ ¤ ৫৬২]
 
 
 

No comments:

Post a Comment