Tuesday, January 31, 2012

হাদিস

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মাঝে যাদের সামর্থ আছে তারা বিয়ে করে ফেল। আর যাদের সামর্থ নাই তারা রোযা রাখ। এটাই তোমাদের জন্য হবে উত্তেজনা নিরোধক।

[বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৪৭৭৯, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৩৪৬৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৪০২৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-১৪৭৬, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদিস নং-১১৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস নং-১৬১৫৫, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৩৮০, মুসনাদে আসাকীর, হাদিস নং-১০৩৮০, সুনানে নাসায়ী, হাদিস নং-৫৩১৯, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-২১৬৬, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১০৮১]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: আল্লাহ তা‘আলা জমিন তাঁর হাতের মুঠোয় গ্রহণ করবেন, আর আসমান তার ডান হাতে মুড়িয়ে নিবেন, অতঃপর বলবেন: আমিই বাদশাহ, দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়?”। [বুখারি, মুসলিম ও ইব্‌ন মাজাহ]
ইবনে উমার [রাঃ] কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন, "মুসলিম মুসলিমের ভাই, সে তার উপর অত্যাচার করবে না এবং তাকে অত্যাচারীর হাতে ছেড়ে দেবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কোন এক বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বহু বিপদের একটি বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন।" [সহীহুল বুখারী ২৪৪২, মুসলিম ২৫৮০, তিরমিযী ১৪২৬, নাসায়ী ৪৮৯৩, আহমাদ ৫৩৩৪, ৫৬১৪]
 
 
 
 

Monday, January 23, 2012

হাদিস

আবু বাকরা [রাযি] থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি একবার বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কে?
তিনি [রাসূল সাঃ] বললেনঃ যা জীবন দীর্ঘ হয় এবং আমল হয় নেক।
লোকটি বললঃ সবচেয়ে মন্দ লোক কে?
তিনি [রাসূল সাঃ] বললেনঃ যার জীবন হয় দীর্ঘ এবং আমল হয় খারাপ। {তিরমিযী-২৩৩৩}
 
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  "যে ব্যাক্তি জুমু'আর দিন, নাপাকি থেকে পাক হওয়ার জন্য যেমন গোসল করা হয়,  তেমনি ভালোভাবে গোসল করে, তারপর "প্রথম সময়ে"  (জুমু'আর নামাজের জন্য) মসজিদে যায় ;  সে যেন ১ টি উট আল্লাহর পথে কুরবানী করল ॥
অতঃপর যে ব্যাক্তি মসজিদে যায়;  সে যেন ১ টি গরু আল্লাহর পথে কুরবানী করল ॥
অতঃপর যে ব্যাক্তি মসজিদে যায়;  সে যেন ১ টি শিং ওয়ালা মেষ আল্লাহর পথে কুরবানী করল ॥
অতঃপর যে ব্যাক্তি মসজিদে যায়;  সে যেন ১ টি মুরগী আল্লাহর পথে দান করল ॥
অতঃপর যে ব্যাক্তি মসজিদে যায়;  সে যেন আল্লাহর পথে ১ টি ডিম দান করল ॥
যখন ইমাম বের হন (তার হুজরা থেকে), তখন ফেরেশতারা খুতবা শোনার জন্য হাজির হয়ে যান এবং (অতঃপর ফেরেশতাগন কর্তৃক পর্যায়ক্রমে আগত মুসল্লীদের নাম লিপিবদ্ধকরন বন্ধ করে দেয়া হয়)"
[বুখারী, মুসলিম]
 
আয়িশা (রাদিআল্লাহু'আনহু) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , নবী (সাল্লাল্লাহু'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : সঠিক কর্তব্য নিষ্ঠ এবং মধ্যম পন্থা অবলম্বন কর ও সুসংবাদ দাও। কেননা স্বীয় আমলের দ্বারা কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। সাহাবীগণ বললেন : আপনিও না ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তিনি বললেন , আমিও না , তবে আল্লাহ্ আমাকে তাঁর রহমত এবং মাগফিরাত দ্বারা ঢেকে রেখেছেন। (বুখারী , হাদীস নং ৬৪৬৭)

হাদিস

মুহাম্মদ ইবন মুসান্না [রা]... ইবন মাস'ঊদ [রা]... থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম [সা]- কে বলতে শুনেছি, কেবল মাত্র দু'ধরনের ব্যক্তির প্রতি ঈর্ষা রাখা যেতে পারে, একজন এমন ব্যক্তি যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়াছেন এবং ন্যায়পথে তা ব্যয় করার মত ক্ষমতাবান বানিয়েছেন। অপরজন এমন ব্যক্তি যাকে আল্লাহ দীনের জ্ঞান দান করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা দেন ও অন্যান্যকে তা শিক্ষা দেন। [সহীহ বুখারীঃ ১৩২৬]
 
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  "তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট দিন হলো জুমার দিন ॥ এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে ॥ এই দিনে তাকে মৃত্যু দেয়া হয়েছে॥ এই দিনে শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে ॥ এবং মহাবিপর্যয় (কিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই ॥ তাই, এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরূদ পাঠ করবে ॥ কারন, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌছে দেয়া হয় ॥ [আবু দাউদ, নাসাঈ]
 
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  "যে ব্যাক্তি বলবে- 'সুবহানাল্লাহিল আ'যীমি ওয়াবিহামদিহী' (মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা করছি এবং তার প্রশংসা ও জ্ঞাপন করছি) তার জন্য বেহেশতে ১ টি গাছ লাগানো হবে" [তিরমিযী]

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  "এই কালেমাগুলো আমার মুখে উচ্চারিত হওয়া সূর্য যে সমস্ত জিনিসের উপর উদিত হয়, সেই সমস্ত জিনিস অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ॥ অর্থাত্‍, দুনিয়ার সকল জিনিস অপেক্ষা এই কালেমাগুলো আমার মুখে উচ্চারিত হওয়া অধিকতর প্রিয়" কালেমাগুলো :
'সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদুলিল্লাহি, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার' (আমি আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা করছি, সমস্ত প্রকার প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশ্রষ্ঠ) [মুসলিম]
 
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  "যে ব্যক্তি দিনে ১০০ বার 'সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী' পাঠ করবে- তার গুনাহ সমূহ মুছে ফেলা হয়, যদি ও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হয়" [বুখারী, মুসলিম]
 
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ سعيْد رضى الله عنْه) বলেন, একবার রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের জন্য মাসজিদে আসিলেন। দেখিলেন যে, হাসির কারণে কিছু লোকের দাঁত দেখা যাইতেছে। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, যদি তোমরা স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করিতে তবে তোমাদের এই অবস্থা হইত না যা আমি দেখিতেছি। সুতরাং স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ কর। কেননা কবরের উপর এমন কোনদিন যায় না যেদিন সে এই আওয়াজ দেয় না যে, আমি অপরিচিতের ঘর, আমি একাকিত্বের ঘর, আমি মাটির ঘর, আমি পোকামাকড়ের ঘর। যখন মুমিন বান্দা কে দাফন করা হয় তখন কবর তাহাকে বলে, তোমার আগমন বরকতময় হউক। খুব ভাল করিয়াছ যে তুমি আসিয়া গিয়াছ। যত লোক আমার উপর চলাফেরা করিত তাহাদের সকলের মধ্যে তুমিই আমার নিকট সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় ছিলে। আজ যখন তোমাকে আমার সোপর্দ করা হইয়াছে এবং আমার নিকট আসিয়াছ তখন আমার উত্তম ব্যবহারও দেখিতে পাইবে। অতঃপর যতদূর পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির দৃষ্টি পৌঁছিতে পারে কবর তাহার জন্য প্রশস্ত হইয়া যায়। এবং তাহার জন্য একটা দরজা জান্নাতের দিকে খুলিয়া দেওয়া হয়।

আর যখন কোন গুনাহগার অথবা কাফেরকে কবরে রাখা হয় তখন কবর বলে, তোমার আগমন বরকতময় না হউক, তুমি আসিয়াছ খুব মন্দ করিয়াছ, যত লোক আমার উপর চলাফেরা করিতে তাহাদের সকলের মধ্যে তোমার প্রতিই আমার বেশী ঘৃণা ছিল। আজ যখন তুমি আমার সোপর্দ হইয়াছ, তখন আমার দুর্বাব্যহারও দেখিতে পাইবে। অতঃপর কবর তাহাকে এমনভাবে চাপ দেয় যে, একদিকের পাঁজর অন্য দিকের পাঁজরে ঢুকিয়া যায়। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একহাতের আঙ্গুলসমূহ অন্য হাতের আঙ্গুলসমূহের মধ্যে ঢুকাইয়া বলিলেন যে, এইভাবে একদিকের পাঁজর অন্যদিকে ঢুকিয়া যায়। আর আল্লহ তায়া’লা তাহার উপর এমন সত্তরটি অজগর সাপ নিযুক্ত করিয়া দেন যাহার মধ্য হইতে একটিও যদি জমিনের উপর শ্বাস ফেলে তবে উহার (বিষের) প্রভাবে কিয়ামাত পর্যন্ত জমিনে ঘাস উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হইয়া যাইবে। উহারা তাহাকে কিয়ামাত পর্যন্ত কামড়াইতে ও দংশন করিতে থাকিবে। নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কবর জান্নাতের একটি বাগান হইবে অথবা জাহান্নামের একটি গর্ত। (তিরমিযী)

মুন্তাখাব হাদিস (দারুল কিতাব, জানুয়ারী ২০০২) পৃষ্ঠা ১১৭-১১৮

Thursday, January 12, 2012

ইসলামে নারীর যৌন অধিকার

আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯]

আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২]

আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫]

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]

আবু মুসা আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত:
হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর স্ত্রী মলিন বদন এবং পুরাতন কাপড়ে নবী করিম (সা.) এর বিবিদের কাছে এলেন। তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এই অবস্থা কেন? কুরাইশদের মাঝে তোমার স্বামী থেকে ধনী কেউ নেই। তিনি বললেন, এতে আমাদের কি হবে? কেননা আমার স্বামীর রাত নামাযে কাটে ও দিন রোযায় কাটে। তারপর নবী করিম (সা.)প্রবেশ করলেন। তখন নবীজীর স্ত্রীগণ বিষয়টি তাকে বললেন। অত:পর হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তাকে বললেন,-“আমার মধ্যে কি তোমার জন্য কোন আদর্শ নাই?”হযরত ওসমান (রা.) বললেন, কী বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ? আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত! তখন তিনি বললেন-“তবে কি তোমার রাত নামাযে আর দিন রোযায় কাটে না? অথচ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, আর তোমার উপর তোমার শরীরেও হক রয়েছে, তুমি নামাযও পড়বে, আবার ঘুমাবেও, আর রোযাও রাখবে আবার ভাঙ্গবেও”। তিনি বললেন তারপর আরেকদিন তার স্ত্রী পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিত অবস্থায় এলেন যেন নববধু। [মাজমায়ে জাওয়ায়েদ, হাদিস নং ৭৬১২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৩১৬]

আবু জুহাইফা (রা.) বলেন:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালমান (রা.) এবং আবু দারদা (রা.) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেছিলেন। সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলেন আর উম্মে দারদা (রা.) [আবু দারদা (রা.)এর স্ত্রী]-কে ময়লা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখতে পেলেন এবং তাকে তার ঐ অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, “আপনার ভাই আবু দারদার দুনিয়ার চাহিদা নাই”। এর মধ্যে আবু দারদা এলেন এবং তার (সালমানের) জন্য খাবার তৈরি করলেন আর বললেন, “খাবার গ্রহণ করো কারণ আমি রোযা আছি”। সালমান(রা.) বললেন, “তুমি না খেলে আমি খাচ্ছি না”। কাজেই আবু দারদা(রা.) খেলেন। যখন রাত হলো, আবু দারদা (রা.) উঠে পড়লেন (রাতের নামায পড়ার জন্য)। সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”; তিনি ঘুমালেন। পুনরায় আবু দারদা উঠলেন (নামাযের জন্য), আর সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”। রাতের শেষ দিকে সালমান (রা.) তাকে বললেন, “এখন ওঠো (নামাযের জন্য)”। কাজেই তারা উভয়ে নামায পড়লেন এবং সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.)কে বললেন, “তোমার ওপর তোমার রবের হক রয়েছে; তোমার ওপরে তোমার আত্মার হক রয়েছে, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে; কাজেই প্রত্যেককে তার প্রাপ্য হক প্রদান করা উচিত”। পরে আবু দারদা (রা.) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন এবং একথা তার কাছে উল্লেখ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সালমান সত্য বলেছে।” [বুখারি, হাদিস নং -১৮৬৭]


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১]


 কাতাদাহ (রহ.) বলেন, একজন মহিলা উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমার স্বামী রাতভর নামায পড়েন এবং দিনভর রোযা রাখেন। তিনি বললেন, তবে কি তুমি বলতে চাও যে, আমি তাকে রাতে নামায পড়তে ও দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করি? মহিলাটি চলে গেলেন। তারপর আবার এসে পূর্বের ন্যায় বললেন। তিনিও পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। কা’ব বিন সূর (রহ.) বললেন, আমিরুল মু’মিনিন, তার হক রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কীরূপ হক? কা’ব (রহ.) বললেন, কা’ব (রহ.) বললেন, আল্লাহ তাআলা তার জন্য চার বিবাহ হালাল করেছেন। সুতরাং তাকে চারজনের একজন হিসেব করে প্রত্যেক চার রাতের এক রাত তার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর প্রত্যেক চার দিনের একদিন তাকে দান করুন। উমর(রা.) তার স্বামীকে ডেকে বলে দিলেন যে, প্রতি চার রাতের একরাত তার কাছে যাপন করবে এবং প্রতি চারদিনের একদিন রোযা পরিত্যাগ করবে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ১২৫৮৮]



কাতাদাহ (রহ.) বলেন, একজন মহিলা উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমার স্বামী রাতভর নামায পড়েন এবং দিনভর রোযা রাখেন। তিনি বললেন, তবে কি তুমি বলতে চাও যে, আমি তাকে রাতে নামায পড়তে ও দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করি? মহিলাটি চলে গেলেন। তারপর আবার এসে পূর্বের ন্যায় বললেন। তিনিও পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। কা’ব বিন সূর (রহ.) বললেন, আমিরুল মু’মিনিন, তার হক রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কীরূপ হক? কা’ব (রহ.) বললেন, কা’ব (রহ.) বললেন, আল্লাহ তাআলা তার জন্য চার বিবাহ হালাল করেছেন। সুতরাং তাকে চারজনের একজন হিসেব করে প্রত্যেক চার রাতের এক রাত তার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর প্রত্যেক চার দিনের একদিন তাকে দান করুন। উমর(রা.) তার স্বামীকে ডেকে বলে দিলেন যে, প্রতি চার রাতের একরাত তার কাছে যাপন করবে এবং প্রতি চারদিনের একদিন রোযা পরিত্যাগ করবে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ১২৫৮৮]


Monday, January 2, 2012

What Left with a Dead Man?

[Sahih Muslim : Book 42 "Kitab Al-Zuhd wa Al-Raqa'iq", Number 7061]Mutarrif (Radi Allah Anhu) reported on the authority of his father: I came to Allah's Apostle (sal-allahu-alleihi-wasallam) as he was reciting: "Abundance diverts you" He said (sal-allahu-alleihi-wasallam): "The son of Adam claims: My wealth, my wealth. And he (the Holy Prophet) said: O son of Adam. is there anything as your belonging except that which you consumed, which you utilized, or which you wore and then it was worn out or you gave as charity and sent it forward?"

[Sahih Muslim : Book 42 "Kitab Al-Zuhd wa Al-Raqa'iq", Number 7063]Abu Huraira (Radi Allah Anhu) reported Allah's Messenger (sal-allahu-alleihi-wasallam) as saying: "A servant says, My wealth. my wealth, but out of his wealth three things are only his: whatever he eats and makes use of or by means of which he dresses himself and it wears out or he gives as charity, and this is what he stored for himself (as a reward for the Hereafter), and what is beyond this (it is of no use to you) because you are to depart and leave it for other people. This hadith has been narrated on the authority of al-'Ala' b. 'Abd al-Rahman with the same chain of transmitters."

[Sahih Muslim : Book 42 "Kitab Al-Zuhd wa Al-Raqa'iq", Number 7064]Anas b. Malik (Radi Allah Anhu) reported Allah's Messenger (sal-allahu-alleihi-wasallam) as saying: "Three things follow the bier of a dead man. two of them come back and one is left with him: the members of his family. wealth and his-good deeds. The members of his family and wealth come back and the deeds alone are left with him."
  

হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“মানুষ যে আগুন জ্বালায় এই আগুন (তার তাপমাত্রা) জাহান্নামের আগুনের তাপমাত্রার সত্তর ভাগের এক ভাগ”। সাহাবীগণ বললেন-“হে আল্লাহর রাসূল! এই আগুনইতো (শাস্তির জন্য) যথেষ্ঠ। তারপর আবার অনুরূপ ঊনষাটগুণ (তাপমাত্রা) বৃদ্ধি করা হয়েছে!”। (সহীহ মুসলিম শরীফ-২/৩৮১, হাদিস নং-৭৩৪৪, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-২০৮৯৭)
আবু সাঈদ খুদরী [রাযি] থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ "সব চেয়ে বড় জিহাদ হল অত্যাচারী শাসকের সামনে ন্যায় কথা বলা।" (তিরমিযী-২১৭৭)
 

Sunday, January 1, 2012

He who walks towards Me, I rush towards him


[Sahih Muslim : Book 35 Kitab Al-Dhikr, Number 6499]

Abu Dharr  (Radi Allah Anhu) reported Allah's Messenger (sal-allahu-alleihi-wasallam) as saying that Allah, the Exalted and Glorious, stated:
"He who comes with goodness, there are in store for him ten like those and even more than those: 'And he who comes with vice, ' it is only for that that he is called to account. I even forgive him (as I like) and he who draws close to Me by the span of a palm I draw close to him by the cubit, and he who draws close to Me by the cubit I draw close to him by the space (covered) by two hands, and he who walks towards Me I rush towards him, and he who meets Me in the state that his sins fill the earth, but not associating anything with Me, I would meet Him with the same (vastness) of pardon (on My behalf)."