Monday, October 31, 2011

হাদিস


হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) নবী করীম () থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেন, কেউ কোন নামাযের কথা ভুলে গেলে তা স্মরণ হওয়া মাত্র আদায় করে নিবে নামাযের এটা ছাড়া অন্য কোন কাফফারা নেই কেননা, আল্লাহ বলেন, আমাকে স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর[বোখারী শরীফ ¤ ৫৬২]
 
হযরত আবুযার জুনদুব ইবন জুনাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃহে আমার বান্দারাআমি নিজের উপর যুলুমকে হারাম করে রেখেছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম করেছিকাজেই তোমরা পরস্পর যুলুম করোনা হে আমার বান্দারাআমি যাকে হিদায়াত করেছি সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট কাজেই আমার কাছে হিদায়াত চাও, আমি তোমাদেরকে হিদায়াত দেব হে আমার বান্দারা ! আমি যাকে খাদ্য দিয়েছি সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত কাজেই আমার কাছে খাদ্য চাও, আমি তোমাদেরকে খাদ্য দেবহে আমার বান্দারা ! আমি যাকে কাপড় দিয়েছি সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই উলংগ কাজেই আমার কাছে কাপড় চাও, আমি তোমাদেরকে কাপড় দেব হে আমার বান্দারা ! তোমরা রাতদিন ভুল করে থাক, আর আমি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেই কাজেই তোমরা আমার কাছে গুনাহ ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব হেআমার বান্দারা ! তোমরা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা, আমার কোন লাভও করে দিতে পারবেনা হে আমার বান্দারা ! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম আল্লাহভীরুর হৃদয়ের মত হৃদয় সম্পন্ন হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকু মর্যাদা বৃদ্ধি পাবেনা হে আমার বান্দারা ! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে খারাপ মানুষের হৃদয়ের মত হৃদয়সম্পন্ন হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকু মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবেনা
হে আমার বান্দারা
যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ কোন এক ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার কাছে একত্রে চায় এবং আমি প্রত্যেককে তার চাহিদা পূরণ করে দেই, তাহলে তাতে আমার কাছে যে ভাণ্ডার রয়েছে তার এতটুকু কমে যায় যতটুকু সমুদ্রে একটি সুঁচ ফেললে তার পানি কমে যায়। হে আমার বান্দারা ! আমি তোমাদের নেক আমলকে তোমাদের জন্য জমা করে রাখছিতারপর আমি তোমাদেরকে তার পূর্ণ বিনিময় দেব। কাজেই যে ব্যক্তি কোন কল্যাণপায়, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অন্য কিছু পায়, সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।(মুসলিম), [রিয়াদুসসালেহীন ; প্রথমখণ্ড, হাদীসনং-১১১]
 
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুশ্রেণীর মানুষ জাহান্নামী হবে- যারা গরুর লেজসদৃশ বেতদ্বারা মানুষকে প্রহার করে এবং যেসব নারী এত পাতলা পোশাক পরিধান করে যে তার ভেতর দিয়ে শরীরের অংশ দেখা যায় এবং অহংকারীরবেশে হেলে দুলে পথ চলে। এনারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবেনা, যা বহুদূর থেকে পাওয়া যায়।” (মুসলিম)
 
আবুল আব্বাস সাহলবিনসা'দআস্-সা'ইদীরাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:"এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কাজ বলুন যা করলে আল্লাহ্ আমাকে ভালবাসেন, লোকেরাও আমাকে ভালবাসে। তখন তিনি বললেন: দুনিয়ার প্রতি অনুরাগী হবেনা, তাহলে আল্লাহ্ তোমাকে ভালবাসবেন; আর মানুষের কাছে যা আছে তার ব্যাপারে আগ্রহী হবে না, তা হলে মানুষও তোমাকে ভালবাসবে।"[ইবনেমাজাহ্: ৪১০২]

রাসুল(সা) বলেছেন, “তোমরা সবচেয়ে অধম লোক দেখতে পাবে সেই ব্যক্তিকে, যে বিভিন্ন জনের কাছে গিয়ে নিজেকে বিভিন্নভাবে বা বিভিন্ন আকারে প্রকাশ করে। আর যে ব্যক্তি পৃথিবীতে দ্বিমুখী আচরণ করবে , কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে দুটি আগুনের জিহ্বা দিবেন।” [বুখারি,মুসলিম,মুয়াত্তা]
 
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃহতে বর্ণিতরাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “সবচেয়ে বড় কবীরাহ গুনাহ হল: কোন লোকের তার নিজের পিতামাতার উপর অভিশাপ দেয়াজিজ্ঞাসা করা হল: “ইয়ারাসুলুল্লাহ (সাঃ) কিভাবে একজন লোক তার পিতামাতার উপর অভিশাপ দিতে পারে?” হুযুর (সাঃ) বলেন: “যখন একজন অপরজনের পিতাকে গালি দেয়, তখন সেও ঐ লোকের পিতামাতাকে গালি দেয়  (এ ভাবেই নিজের পিতাকে অভিশাপ দেয়া হয়ে যায়)” (বুখারী)
 
আবূ আব্দুল্লাহ্ জাবের ইবন আব্দুল্লাহ্ আল-আনসারী (রাদিয়াল্লাহুআনহুমা) হতে বর্ণিত হয়েছে- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করলেন: আপনি কি মনে করেন যদি আমি ফরয নামায আদায় করি, রমযানে রোযা রাখি, হালালকে হালাল বলে ও হারামকে হারাম বলে ঘোষণা করি, আর এর বেশী কিছু না করি, তাহলে কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো? তিনিবললেন: হাঁ। [মুসলিম: ১৫]

O Womenfolk! give Charity and ask much Forgiveness



[Sahih Muslim:  Book 1 Kitab Al-Iman , Number 142]

It is narrated on the authority of 'Abdullah b. Umar
 (Radi Allah Anhu)  that the Messenger of Allah  (sal-allahu-alleihi-wasallam) observed: O womenfolk, you should give charity and ask much forgiveness for I saw you in bulk amongst the dwellers of Hell. A wise lady among them said: Why is it, Messenger of Allah (sal-allahu-alleihi-wasallam), that our folk is in bulk in Hell? Upon this the Holy Prophet  (sal-allahu-alleihi-wasallam) observed: You curse too much and are ungrateful to your spouses. I have seen none lacking in common sense and failing in religion but (at the same time) robbing the wisdom of the wise, besides you. Upon this the woman remarked: What is wrong with our common sense and with religion? He (the Holy Prophet  (sal-allahu-alleihi-wasallam)
) observed: Your lack of common sense (can be well judged from the fact) that the evidence of two women is equal to one man, that is a proof of the lack of common sense, and you spend some nights (and days) in which you do not offer prayer and in the month of Ramadan (during the days) you do not observe fast, that is a failing in religion.

Allah's Saying: "I am very near to My Servant"

[Sahih Muslim : Book 35 Kitab Al-Dhikr, Number 6471]
Abu Huraira   (Radi Allah Anhu) reported Allah's Messenger ( sal-allahu-alleihi- wasallam) as saying that Allah, the Exalted and Glorious, thus stated: I am near to the thought of My servant as he thinks about Me, and I am with him as he remembers Me. And if he remembers Me in his heart, I also remember him in My Heart, and if he remembers Me in assembly I remember him in assembly, better than his (remembrance) , and if he draws near Me by the span of a palm, I draw near him by the cubit, and if he draws near Me by the cubit I draw near him by the space (covered by) two hands. And if he walks towards Me, I rush towards him.

Sunday, October 23, 2011

হাদিস

আবু হুরাইরা [রা] থেকে বর্ণিত। নবী করীম [সা] বলেছেন, যখন নামাযের আযান দেয়া হয় তখন শয়তান হাওয়া ত্যাগ করতে করতে এত দূরে চলে যায় যেখান থেকে আযান শুনা যায় না, আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। একামত বলার সময় আবার দূরে চলে যায়। একামত শেষ হলে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়ার জন্য আবার ফিরে আসে। যে সব কথা মনে নেই (শয়তান) এসে সে সব কথা স্মরণ করতে বলে। বলে সেই যে, সেই কথাটি স্মরণ কর। ঐ বিষয়টি মনে কর। এর ফলে একজন নামাযী কত রাকাআত নামায পড়েছে তা তখন আর স্মরণ থাকে না।
[সহীহ বুখারীঃ ৫৭৩]
  
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সাবধান ! তোমাদের পূর্বের যুগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহ মসজিদ (সিজদার স্থান) হিসেবে গন্য করতো। তবে তোমরা কিন্তু কবর সমূহকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি এরূপ করতে তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি।
[মুসলিম, ১০৭৭]
 
“হযরত আনাস রা. থেকেব বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে যেন তার অর্ধেক ঈমানকে পূর্ণ করে ফেললো। এখন বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (মিশকাত শরীফ: হাদীস নং ৩০৯৭)
 
নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে লঘু শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে এই যে, তার দুই পায়ের তালুর নিচে আগুনের দু’টি অংগার রাখা হবে এবং তাতে তার মস্তিষ্ক সিদ্ধ হতে থাকবে। সে মনে করবে, তার চাইতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আর কেউ হয়নি। অথচ সে-ই জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে হালকা শাস্তিপ্রাপ্ত।” (ইমাম বুখারী: ৬৫৬২ ও ইমাম মুসলিম: ২১৩ এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেনঃ “বন্ধুদের মধ্যে আল্লাহর কাছে উত্তম বন্ধু ঐ ব্যক্তি যে তার সংগীর কল্যাণকামী। প্রতিবেশীদের মধ্যে আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিবেশী ঐ ব্যক্তি যে তার প্রতিবেশীর কল্যাণকামী”
[তিরমিযী ৩১১]
সুলায়মান আবুর রাবী (রাঃ), আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন - মুনাফিকের আলামত তিনটি
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
২. যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে এবং
৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।
(সহীহ বুখারী - ৩২)
 
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন:
“আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

তোমাদের প্রত্যেকেই রক্ষণাবেক্ষণকারী(বা দায়িত্বশীল) এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্...ঞাসাবাদ করা হবে। পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল এবং তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্ত্রীলোক তার স্বামীর ঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারিনী এবং তাকে সে সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। খাদেম তার মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তাকে তার সে দায়িত্বপালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে।” [বুখারী: ৭/৪১(৫২০০) ও মুসলিম: ৬/৭(১৮২৯)]
 
জুন্দাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার কৃতকর্মের সুনামের লোক সমাজে প্রচার করে বেড়ায়, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার কৃতকর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্যের লোকদেরকে জানিয়ে ও শুনিয়ে দিবেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এ কাজ (সৎকাজ) করবে, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের মাঝে প্রকাশ করে দিবেন।” [বুখারী: ৬৪৯৯]
 
 
 
 
 

ধৈর্য্য

হযরত আবু সাইদ খুদরী (রা) বর্ণনা করেন , আনসারদের কতিপয় ব্যত্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সাহায্য চাইল। তিনি তাদেরকে সাহায্য দিলেন। তারা আবার চাইল।তিনি আবারও দান করলেন।এমনকি তার নিকট যা কিছু ছিল ,তা সবই নিঃশেষ হয়ে গেল। এভাবে হাতের সব কিছু দান করার পর তিনি লোকদের বললেন : আমার হাতে যে ধন-মাল আসে তা আমি তোমাদেরকে না দিয়ে সঞ্চয় করে রাখি না। (জেনে রেখো) যে ব্যত্তি পবিত্র থাকতে চায় ,আল্লাহ তাকে পবিত্রই রাখেন। যে ব্যত্তি কারো মুখাপেক্ষী হতে চায় না ,আল্লাহ তাকে স্বাবলম্বী করে তুলেন। যে ব্যত্তি ধৈর্য্য অবলম্বন করতে চায়,আল্লাহ তাকে ধৈর্য্যশীলতা দান করেন। ধৈর্য্য এর চাইতে উত্তম ও প্রশস্ত আর কোন জিনিস কাউকে দেয়া হইনি।
[বুখারী ও মুসলিম] [রিয়াদুস সালেহিন ঃঅনুচ্চেদ ৩ঃ২৬]