Sunday, October 23, 2011

হাদিস

আবু হুরাইরা [রা] থেকে বর্ণিত। নবী করীম [সা] বলেছেন, যখন নামাযের আযান দেয়া হয় তখন শয়তান হাওয়া ত্যাগ করতে করতে এত দূরে চলে যায় যেখান থেকে আযান শুনা যায় না, আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। একামত বলার সময় আবার দূরে চলে যায়। একামত শেষ হলে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়ার জন্য আবার ফিরে আসে। যে সব কথা মনে নেই (শয়তান) এসে সে সব কথা স্মরণ করতে বলে। বলে সেই যে, সেই কথাটি স্মরণ কর। ঐ বিষয়টি মনে কর। এর ফলে একজন নামাযী কত রাকাআত নামায পড়েছে তা তখন আর স্মরণ থাকে না।
[সহীহ বুখারীঃ ৫৭৩]
  
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সাবধান ! তোমাদের পূর্বের যুগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহ মসজিদ (সিজদার স্থান) হিসেবে গন্য করতো। তবে তোমরা কিন্তু কবর সমূহকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি এরূপ করতে তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি।
[মুসলিম, ১০৭৭]
 
“হযরত আনাস রা. থেকেব বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে যেন তার অর্ধেক ঈমানকে পূর্ণ করে ফেললো। এখন বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (মিশকাত শরীফ: হাদীস নং ৩০৯৭)
 
নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে লঘু শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে এই যে, তার দুই পায়ের তালুর নিচে আগুনের দু’টি অংগার রাখা হবে এবং তাতে তার মস্তিষ্ক সিদ্ধ হতে থাকবে। সে মনে করবে, তার চাইতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আর কেউ হয়নি। অথচ সে-ই জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে হালকা শাস্তিপ্রাপ্ত।” (ইমাম বুখারী: ৬৫৬২ ও ইমাম মুসলিম: ২১৩ এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেনঃ “বন্ধুদের মধ্যে আল্লাহর কাছে উত্তম বন্ধু ঐ ব্যক্তি যে তার সংগীর কল্যাণকামী। প্রতিবেশীদের মধ্যে আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিবেশী ঐ ব্যক্তি যে তার প্রতিবেশীর কল্যাণকামী”
[তিরমিযী ৩১১]
সুলায়মান আবুর রাবী (রাঃ), আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন - মুনাফিকের আলামত তিনটি
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
২. যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে এবং
৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।
(সহীহ বুখারী - ৩২)
 
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন:
“আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

তোমাদের প্রত্যেকেই রক্ষণাবেক্ষণকারী(বা দায়িত্বশীল) এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্...ঞাসাবাদ করা হবে। পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল এবং তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্ত্রীলোক তার স্বামীর ঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারিনী এবং তাকে সে সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। খাদেম তার মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তাকে তার সে দায়িত্বপালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে।” [বুখারী: ৭/৪১(৫২০০) ও মুসলিম: ৬/৭(১৮২৯)]
 
জুন্দাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার কৃতকর্মের সুনামের লোক সমাজে প্রচার করে বেড়ায়, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার কৃতকর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্যের লোকদেরকে জানিয়ে ও শুনিয়ে দিবেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এ কাজ (সৎকাজ) করবে, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের মাঝে প্রকাশ করে দিবেন।” [বুখারী: ৬৪৯৯]
 
 
 
 
 

No comments:

Post a Comment