Thursday, March 15, 2012

হাদিস

জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত| রাসুল (সা:)বলেছেনঃ “রাতে এমন একটি দু’আ কবুলের সময় আছে যখন মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের কোন দু’আ করলে আল্লাহ অবশ্য তা কবুল করেন| আর এ সময়টি রয়েছে প্রত্যেক রাতে।”  [মুসলিমঃ ১১৭৮]
রাসূল (সা) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির প্রত্যেকেরই জিম্মাদারী আল্লাহ্‌র উপর, তাঁরা বেঁচে থাকা অবস্থায় আল্লাহ্‌ তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করবেন এবং তাদের জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন। আর যদি তাঁরা মারা যায় তাহলে আল্লাহ্‌ তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তাঁরা হলোঃ যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে সে আল্লাহ্‌র জিম্মায়, যে ব্যক্তি মাসজিদের (সালাতের জন্য) উদ্দেশ্য বের হয় সে আল্লাহ্‌র জিম্মায় এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র পথে (জিহাদে) বের হয় সে আল্লাহ্‌র জিম্মায়।  সহীহ আত-তারগীব, হাদীস ৩১৬  শায়খ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।
রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন (হাশরের ময়দানে) বান্দাহ তার স্থানেই দাঁড়িয়ে থাকবে, যে পর্যন্ত না তাকে জিজ্ঞেস করা হবেঃ তার জীবনকাল কিরূপে অতিবাহিত করেছে, তার জ্ঞান কি কাজে লাগিয়েছে, তার সম্পদ কোথা থেকে অর্জন করেছে এবং কিসে খরচ করেছে এবং তার শরীর কিভাবে পুরানো করেছে? [তিরমিযীঃ ২৪১৭]
হযরত নু'মান ইবনে বশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন- "পারস্পরিক ভালবাসা, দয়া-অনুগ্রহ ও স্নেহ-মমতার দৃষ্টিকোণ থেকে সকল মু'মিনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে একটি দেহের সমতুল্য। যদি দেহের কোন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই জ্বর ও অনিদ্রা অনুভব করে।" বুখারী ও মুসলিম
আবু সা'ঈদ খুদরী [রা:] থেকে বণির্ত । তিনি রাসুলুল্লাহ [সা:]কে বলতে শুনেছেন যে, তোমরা কেউ পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, সুতরাং সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং প্রিয়জনদের কাছে বলে । অপর বণর্নায় আছে সে যেন প্রিয়জন ছাড়া করো কাছে না বলে । আর অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে, সুতরাং সে যেন তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রথর্না করে এবং কারো কাছে না বলে । তাহলে তা তার কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না । [বুখারী-৬৯৮৫]
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (স) অধিকাংশ সময় এই বলে দু'আ করতেনঃ "আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরাতে হাসানাতাও ওয়া কিনা আযা-বান নার- হে আল্লাহ ! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখিরাতে কল্যাণ দান কর এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাকে রক্ষা কর।" [বুখারী ও মুসলিম]
হযরত আবু মুসা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স) বলেছেনঃ "নিঃসন্দেহে নামাযের জন্য সবচেয়ে প্রতিদান পাবে সেই ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশি দূর থেকে হেঁটে নামাযে আসে। তারপর যে ব্যক্তি আরো বেশি দূর থেকে আসে সে আরো বেশি প্রতিদান পাবে। আর যে ব্যক্তি ঈমামের সাথে নামায পড়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সে তার চাইতে বেশি প্রতিদান পাবে যে একাকী নামায পড়ে, তারপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।" (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১০৫৭)
 
 

অর্থ উপার্জনের ফাযীলত

রাসূল (সা) বলেছেনঃ মানুষ পবিত্র আহার যা গ্রহণ করে তা হচ্ছে নিজের উপার্জিত আহার। আর তাঁর সন্তানও হচ্ছে তাঁর উপার্জিত সম্পদ। ইবনু মাজাহ, হাদীস ২১৩৭
রাসূল (সা) বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকিনদের জন্য উপার্জনকারী আল্লাহ্‌র পথে জিহাদরত ব্যক্তির ন্যায় এবং ঐ ব্যক্তির সমতুল্য যে রাতে নফল ইবাদত করে ও দিনে রোযা রাখে।   ইবনু মাজাহ, হাদীস ২১৪০
রাসূল (সা) বলেছেনঃ তোমরা দুনিয়ার সম্পদ উপার্জনে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা যার জন্য যা সৃষ্টি করা হয়েছে, সে তা পাবেই। ইবনু মাজাহ, হাদীস ২১৪২

Saturday, March 10, 2012

মুসলমানের অধিকার

মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ৬ টি অধিকার......... 
১/ যখন তার সাথে সাক্ষাৎ করবে সালাম দিবে।
২/ যখন দাওয়াত দিবে তা গ্রহণ করবে।
৩/ যখন পরামর্শ চায়, পরামর্শ দিবে।
 ৪/ যখন হাঁচি দিয়ে সে আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলবে, তুমি তার জবাব দিবে।
৫/ যখন সে অসুস্থ হবে দেখাশুনা ও সেবা করবে।
৬/ যখন সে মারা যাবে জানাজায় শরীক হবে।  (মুসলিম)

হৃদয়ের কঠোরতা

হযরত আবু দারদা(রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যাক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার হৃদয়ের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি চাও যে তোমার হৃদয় কোমল হোক,তাহলে এতীমের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও এবং তাকে আহার দাও।  { মাজমাউয যাওয়াযেদঃ ৮/১৬০}