Tuesday, December 27, 2011

হাদিস

জাবির [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেনঃ যার মাঝে এই তিনটি গুণ আছে আল্লাহ তায়া'লা তার উপর স্বীয় রহমতের বাজু প্রসারিত করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখেল করবেন। গুণগুলি হলঃ
  দুর্বলের সাথে নরম ব্যাবহার
 পিতা-মাতার উপর মায়া প্রদর্শন
  এবং দাসদের প্রতি সদ্ব্যবহার। তিরমিযী-২৪৯৬
 

Wednesday, December 21, 2011

হাদিস

“আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেছেন, ঘরে বা বাহিরে একা নামায আদায় করার থেকে পঁচিশ গুন বেশী সওয়াব পাওয়া যায় জামাতের সহিত নামায আদায় করলে। যদি কেউ সঠিক ভাবে পাক পবিত্র হয়ে দৃঢ় সংকল্পে মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে তাহলে তার প্রতি কদমে কদমে তার জন্যে সওয়াব লেখা হয় এবং গুনাহের তালিকা থেকে একটি একটি করে গুনাহ কেটে দেওয়া হয়। আর যতক্ষণ সে নামায পড়বে ততক্ষণই ফেরেশতারা আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের কাছে তার ওপর রহমতের ও ক্ষমার জন্য দোয়া করে। ফেরেশতারা বলেন, ইয়া আল্লাহ্‌, আপনি তার ওপর রহমত বর্ষণ করুণ, দয়া করুণ, ক্ষমা করুণ। আর যে ব্যক্তি নামাযের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করে তার জন্যেও এটি প্রযোজ্য”। [বুখারী, বই-১, খন্দ-১১, হাদিস-৬২০]
 
 

Sunday, December 18, 2011

হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন- দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা আর কাফেরদের জন্য স্বর্গ। {মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৭৬০৬}
 
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-যখন মানুষ মারা যায় তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল বন্ধ হবেনা-১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন ইলম যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। ৩. নেক সন্তান যে তার জন্য দুয়া করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২৮৮২, মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৪৩১০, মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদিস নং-২১৩)
 
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-"মুমিনের জন্য আসমানে দু'টি প্রবেশ দ্বার থাকে। একটি দিয়ে তার আমল উঠে, আর একটির মাধ্যমে তার রিজিক অবতীর্ণ হয়। যখন সে মৃত্যুবরণ করে তখন উভয় প্রবেশদ্বার তার জন্য ক্রন্দন করে। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে এটাই বলেছেন যে, -"কাফেরদের জন্য আসমান জমিন ক্রন্দন করেনা এবং তারা সময়ের সুযোগপ্রাপ্তও হবেনা"। (তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩২৫৫)
 
 
 
 

Wednesday, December 14, 2011

হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-"মুনাফিকের জন্য অন্যান্য নামাযের তুলনায় ফজর ও ইশার নামায সর্বাধিক কঠিন। অথচ এই দুই নামাযের সওয়াব সম্পর্কে তারা যদি জানত তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত। (তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-৯১৫, বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৫৯০, মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-১০০৯)
 
 

Monday, December 12, 2011

সালাত

০১)সহাল বিন সা’দ রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হ’ত যেন তারা সালাতের সময় ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর স্থাপন করে রাখে। আবু হাযেম বলেন যে, সাহাবী সাহল বিন সা’দ এই আদেশটিকে রাসুল (ছাঃ)-এর দিকে সম্পর্কিত বলেই জানি। [বুখারী নং-৭০৪ ই.ফা]
...
০২) আবু তাওবা…তাউস (রহ) থেকে বণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) নামাজরত অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে তা নিজের বুকের উপর বেঁধে রাখতেন । [হাদিসটি সহীহ। আবু দাউদ ১ম খন্ড হা/৭৫৯ ই.ফা.বা.প্রকাশ]

০৩) সাহবী হুলব আত-ত্বাঈ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (ছাঃ)-কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপরে ডান হাতের জোড় বুকের উপরে রাখতে দেখেছি। [আহমদ হা/২২৬১০, সনদ হাসান]

০৪)ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল সঃ এর সাথে ছালাত আদায় করলাম। এমতাবস্থায় দেখলাম যে, তিনি বাম হাতের উপরে ডান হাত স্বীয় বুকের উপর রাখলেন।
[সহীহ ইবনে খুজায়মা হা/৪৭৯,;আবু দাউদ হা/৭৫৫, ইবনু মাস’উদ হ’তে হা/৭৫৯, ত্বাউস বিন কায়সান হ’তে; ‘সালাত’ অধ্যায়, ‘সালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা’অনুচ্ছেদ-১২১]
 
 ০৫) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতে আসমানের দিকে তাকাতে কঠোরভাবে নিষেদ করেন, এবং বলেন তারা যেন এ থেকে বিরত থাকে অন্যথায় তাদের দৃষ্টিশক্তি কেঁড়ে নেয়া হবে।
[বূখারী, ৭১৪ ইঃফাঃ]

০৬) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা এক ধরণের ছিনতাই যার দ্বারা শয়তান বান্দার সালাতের অংশবিশেষ কেঁড়ে নেয়।
[বুখারী, ৭১৫ ইঃফাঃ]

০৭) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা যখন সালাত আদায় করবে তখন এদিক ওদিক তাকাবে না কেননা বান্দা যতক্ষন এদিক ওদিক না তাকায় ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ্‌ তাঁর চেহারাকে বান্দার চেহারার প্রতি নিবন্ধ রাখেন।
[তিরমিযী]
 

Wednesday, December 7, 2011

হাদিস

দুটি ক্ষুধার্ত বাঘকে ছাগলের পালের মধ্যে ছেড়ে দিলে ততটুকু ক্ষতিসাধন করতে পারে না,যতটুকু মানুষের মাল সম্পদ এবং সম্মান লাভের আকাঙ্খা করা তার দ্বীনের পক্ষে ক্ষতিকর।(তিরমিজি,দারেমি,আহমদ,মুসলিম,আবু দাউদ,মিশকাত)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতে আসমানের দিকে তাকাতে কঠোরভাবে নিষেদ করেন, এবং বলেন তারা যেন থেকে বিরত থাকে অন্যথায় তাদের দৃষ্টিশক্তি কেঁড়ে নেয়া হবে
[
বূখারী, ৭১৪ ইঃফাঃ]

...
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা এক ধরণের ছিনতাই যার দ্বারা শয়তান বান্দার সালাতের অংশবিশেষ কেঁড়ে নেয়।
[
বুখারী, ৭১৫ ইঃফাঃ]

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা যখন সালাত আদায় করবে তখন এদিক ওদিক তাকাবে না কেননা বান্দা যতক্ষন এদিক ওদিক না তাকায় ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ্তাঁর চেহারাকে বান্দার চেহারার প্রতি নিবন্ধ রাখেন।
[
তিরমিযী]

হযরত আবু উসামা [রাযি] থেকে বর্ণিত, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, দুটো ফোঁটা এবং দুটো চিহ্ন থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় আর কিছু নেই
( ফোটা দুটো হল,) আল্লাহর ভয়ে রোদনের অশ্রুফোটা এবং আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোটা।
আর দুটো চিহ্ন হল, আল্লাহর পথে (আঘাতের) চিহ্ন এবং আল্লাহর নির্দ্ধারিত কোন ফরজ ইবাদত আদায়ের চিহ্ন। {তিরমিযী-১৬৭৫}

 

Thursday, December 1, 2011

হাদিস শরীফ

যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যস্থিত অঙ্গের (গোপনাঙ্গ) হেফাযত করবে, আল্লাহর রাসূল
তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।(বুখারী)
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায় : তার আত্মীয় পরিজন, ধন সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ্) অতঃপর দু'টি ফিরে আসে আর একটি (তার সাথে) থেকে যায় । তার আত্মীয় পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)
“একজন মুমিনের উদাহরণ একটি শস্যের মত, থেকে থেকে বাতাস তাকে দোলায়। তদ্রুপ একের পর এক মুসিবত অবিরাম অস্থির করে রাখে মুমিনকে। পক্ষান্তরে একজন মুনাফিকের উদাহরণ একটি দেবদারু বৃক্ষের ন্যায়, দুলে না, কাত হয়েও পড়ে না, যতক্ষণ না শিকড় থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয় তাকে।” [মুসলিম : ৫০২৪]
 
যে ব্যক্তি কোন লৌহ অস্ত্র দ্বারা আত্নহত্যা করবে, সেই লোহার অস্ত্রই তার হাতে দেয়া হবে, এর দ্বারা সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল নিজের পেটকে নিজেই ফুঁড়তে থাকবে, আর সেই জাহান্নামই হবে তার চিরস্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি বিষপানে আত্নহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল তাই চাটতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্নহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে চিরকাল এভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে। আর সেখানেই সে চিরকাল অবস্থান করবে।
[সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ২০৮]
মসজিদে গিয়ে নামজ আদায়ের ফজীলত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকালে বা বিকালে যতবার মসজিদে যায় আল্লাহ্‌ তাআলা জান্নাতে তার জন্য ততবার মেহমানদারীর আয়োজন করেন। [বুখারী, ৬২৯]
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) ইরশাদ করেন_ রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদে থাকে এবং প্রকৃত মুমিন সেই ব্যক্তি_ মানুষ যাকে নিজেদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপদ মনে করে। _তিরমিজী। এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় ঈমানদার ব্যক্তি কারও ক্ষতি করতে পারে না। কারও অনিষ্ট সাধন করতে পারে না। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) নবী করিম (সা.)কে উত্তম ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য কারও সঙ্গে তোমার ভালোবাসা হবে, আল্লাহর জন্যই কারও সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে। তুমি তোমার জিহ্বাকে আল্লাহর জিকিরে মশগুল রাখবে। হজরত মুয়াজ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আর কি? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন, নিজের জন্য যা ভালোবাস অন্যের জন্যও তা ভালোবাসবে। আর নিজের জন্য যা অপছন্দ কর অন্যের জন্যও তা অপছন্দ করবে। _মুসনাদে আহমদ
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।
হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তোমার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ। [তিরমিযি : ৩৪৪৪]

হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের স্পর্শ ও বিপদে শক্রর উপহাস হতে। [বোখারি : ৫৮৭১]

হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের আজাব হতে, কবরের আজাব হতে, মসিহ দজ্জালের ফিতনা হতে এবং জীবন মৃত্যুর ফেনা হতে। [মুসলিম : ৯৩০]

হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ। [তিরমিযি : ৩৫১৫]
 
 
 
 
 
 

Tuesday, November 22, 2011

শপথ ও আত্মহত্যাকারী প্রসঙ্গে



সাবেত বিন যাহ্হাক রাদিয়াল্লাহুআনহু নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের নামে মিথ্যা শপথ করল তাকে উক্ত ধর্মের লোক বলেই গণ্য করা হবে। আর যে ব্যক্তি কোন লোহার অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করল, তাকে সে অস্ত্র দিয়ে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে।” [বুখারী: ১৩৬৩]

হাদিস

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হিসন দারেমী আবু মাদীনার বর্ণনা অনুযায়ী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন পরস্পর মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না। ( তাবারানী )
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি দুনিয়াকে ভালবাসবে, তার আখেরাতের লোকসান হবে এবং যে আখেরাতকে ভালবাসবে তার দুনিয়ার কিছু ক্ষতি হবে। হে আমার উম্মত! তোমাদের মঙ্গলের জন্যই বলছি, তোমরা অস্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে ভালবেসে চিরস্থায়ী আখেরাতকে নষ্ট করে দিওনা। তোমরা সকলে চিরস্থায়ী পরকালকেই শক্তভাবে ধর এবং বেশি করে ভালবাস। (অর্থাৎ দুনিয়ার মহব্বত পরিত্যাগ করে আখেরাতের প্রস্তুতিতে আমলের প্রতি যথাযথ ধাবিত হও। (আহমাদ, বাইহাকী)
সাবেত বিন যাহ্হাক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের নামে মিথ্যা শপথ করল তাকে উক্ত ধর্মের লোক বলেই গণ্য করা হবে। আর যে ব্যক্তি কোন লোহার অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করল, তাকে সে অস্ত্র দিয়ে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে।” [বুখারী: ১৩৬৩]
হুজায়ফা (রঃ) হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবেনা (বুখারী ও মুসলিম) । চোগলখোরি বলা হয় - একের কথা অপরকে বলে উভয়ের মাঝে মনমালিন্যের সৃষ্টি করে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেওয়া।
 
 
 
 
 
 

Wednesday, November 16, 2011

অহংকার




আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ () বলেন, “যার মনে একটি অণু পরিমাণ ওজনেরও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।একজন উপস্থিত লোক জানতে চাইলো, “ইয়া রাসুলুল্লাহ , যদি কেউ তার নিজের পোষাক জুতাকে পছন্দ করে একারণে যে তাকে সুন্দর দেখায়রাসুলুল্লাহ() বলেন, “আল্লাহ তায়ালা নিজেই সুন্দরতম অস্তিত্ব এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার মানে হল, সত্যকে প্রত্যাখান করা মানুষকে ছোট করে দেখা ” [মুসলিম]


অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। যমীনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কন্ঠস্বর নিচু করো, নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর
[
লুকমান ৩১:১৮-১৯]


আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহুআনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: “যখন তোমাদের কেউ দেখতে চায় যে, চেহারা সম্পদের দিক থেকে কে তার চেয়ে উত্তম, সে যেন তখন তার চেয়ে যে নিম্নমানের তার দিকে তাকায়।
[
বুখারী: ৬৪৯০]