Thursday, December 1, 2011

হাদিস শরীফ

যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যস্থিত অঙ্গের (গোপনাঙ্গ) হেফাযত করবে, আল্লাহর রাসূল
তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।(বুখারী)
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায় : তার আত্মীয় পরিজন, ধন সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ্) অতঃপর দু'টি ফিরে আসে আর একটি (তার সাথে) থেকে যায় । তার আত্মীয় পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)
“একজন মুমিনের উদাহরণ একটি শস্যের মত, থেকে থেকে বাতাস তাকে দোলায়। তদ্রুপ একের পর এক মুসিবত অবিরাম অস্থির করে রাখে মুমিনকে। পক্ষান্তরে একজন মুনাফিকের উদাহরণ একটি দেবদারু বৃক্ষের ন্যায়, দুলে না, কাত হয়েও পড়ে না, যতক্ষণ না শিকড় থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয় তাকে।” [মুসলিম : ৫০২৪]
 
যে ব্যক্তি কোন লৌহ অস্ত্র দ্বারা আত্নহত্যা করবে, সেই লোহার অস্ত্রই তার হাতে দেয়া হবে, এর দ্বারা সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল নিজের পেটকে নিজেই ফুঁড়তে থাকবে, আর সেই জাহান্নামই হবে তার চিরস্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি বিষপানে আত্নহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল তাই চাটতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্নহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে চিরকাল এভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে। আর সেখানেই সে চিরকাল অবস্থান করবে।
[সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ২০৮]
মসজিদে গিয়ে নামজ আদায়ের ফজীলত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকালে বা বিকালে যতবার মসজিদে যায় আল্লাহ্‌ তাআলা জান্নাতে তার জন্য ততবার মেহমানদারীর আয়োজন করেন। [বুখারী, ৬২৯]
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) ইরশাদ করেন_ রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদে থাকে এবং প্রকৃত মুমিন সেই ব্যক্তি_ মানুষ যাকে নিজেদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপদ মনে করে। _তিরমিজী। এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় ঈমানদার ব্যক্তি কারও ক্ষতি করতে পারে না। কারও অনিষ্ট সাধন করতে পারে না। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) নবী করিম (সা.)কে উত্তম ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য কারও সঙ্গে তোমার ভালোবাসা হবে, আল্লাহর জন্যই কারও সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে। তুমি তোমার জিহ্বাকে আল্লাহর জিকিরে মশগুল রাখবে। হজরত মুয়াজ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আর কি? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন, নিজের জন্য যা ভালোবাস অন্যের জন্যও তা ভালোবাসবে। আর নিজের জন্য যা অপছন্দ কর অন্যের জন্যও তা অপছন্দ করবে। _মুসনাদে আহমদ
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।
হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তোমার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ। [তিরমিযি : ৩৪৪৪]

হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের স্পর্শ ও বিপদে শক্রর উপহাস হতে। [বোখারি : ৫৮৭১]

হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের আজাব হতে, কবরের আজাব হতে, মসিহ দজ্জালের ফিতনা হতে এবং জীবন মৃত্যুর ফেনা হতে। [মুসলিম : ৯৩০]

হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ। [তিরমিযি : ৩৫১৫]
 
 
 
 
 
 

No comments:

Post a Comment