Monday, September 3, 2012

হাজরে আসওয়াদের ফজীলত

অনেক হাদীসে হাজরে আসওয়াদের ফজীলত প্রমানিত হয়েছে, এবং তাওয়াফ কালে তাকে স্পর্শ ও চুমো দেওয়ায় উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এর ফজীলতের দলিল হিসেবে নবীজির হাতের স্পর্শ এবং তাঁর পবিত্র মুখের চুম্বনই যথেষ্ট।

● উমর বিন
খাত্তাব (রাঃ) হাজরে আসওয়াদে চুম্বন দেন এবং বলেন-
“আমি জানি তুমি পাথর মাত্র, তোমার লাভ লোকসানের কোন ক্ষমতা নেই। আমি যদি নবীজিকে তমায় চুম্বন দিতে না দেখতাম তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না।”(বুখারী ১৫৯৭, মুসলিম ১২৭০)

● ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
“হাজরে আসওয়াদ যখন জান্নাত থেকে নেমে আসে তখন দুধের চেয়েও সাদা ছিল; কিন্তু আদম সন্তানের পাপ তাকে কালো করে দেয়।” (তিরমিজীঃ৮৭৭)

● ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে বলেছেন-
“আল্লাহর কসম! তিনি কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদকে দুটি চোখ ও একটি জিহ্বা সম্পন্ন অবস্থায় হাজির করবেন। চোখ দুটি দ্বারা দর্শন ও জিহ্বা দ্বারা কথা বলবে এবং যে ব্যক্তি দুনিয়াতে ঈমানের সাথে তাকে চুম্বন দিয়েছে তার জন্য সাক্ষ্য দেবে।” (তিরমিজীঃ ৭৬১)

● আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) নিজ কানে হাত রেখে তিনবার বলেন, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- “হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহীম এ দুটি জান্নাতের জ্যোতিময় পাথর ছিল, আল্লাহ যদি এ দুটির জ্যোতি বিলুপ্ত না করতেন তাহলে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে অথবা পশ্চিম ও পূর্ব দিগন্তে যা আছে সবই আলোকিত করে দিত।”(মুসনাদে আহমদ ২/২১৪)

● ‘ইব্রাহীম (আঃ) কা’বা নিরমানের কাজ শেষ করেন; কিন্তু একটি পাথর রাখার মতো জায়গা বাকী থেকে যায়। ইসমাঈল (আঃ) [ঐ খালি স্থানটি পূরণ করার জন্য] কোন একটি পাথর খুজতে আরম্ভ করেন। তখন ইব্রাহীম (আঃ) তাকে বলেন, আমি তোমাকে যেরকম পাথর আনতে বলেছি ঠিক সেই রকম নিয়ে এসো, তিনি পাথর খুঁজতে বেরিয়ে যান। যখন তিনি পাথর নিয়ে হাজির হন তখন দেখেন যে ইব্রাহীম (আঃ) ঐ স্থানে একটি পাথর বসিয়ে ফেলেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, আব্বাজান এ পাথর কে নিয়ে এসেছে? প্রত্যুত্তরে বলেন, ঐ ব্যক্তি নিয়ে এশেচেহ যিনি তোমার নির্মাণ কাজের মুখাপেক্ষী নন। এটি জিব্রাঈল (আঃ) আকাশ থেকে নিয়ে এসেছেন।’*

*[এটি হাদীসের অংশ, মারফু হাদীসের পর্যায়ে যদিও সেটি আলী (রাঃ) পর্যন্ত মাওকুফ, দেখুন তাফসীর ইবনে কাসীর -১/২৫৮, তাফসীরে তাবারী, সূরা বাকারাহঃ ১২৭।]
উৎসঃ বই- পবিত্র মক্কার ইতিহাস, দারুসসালাম পাবলিকেশন্স

No comments:

Post a Comment